ANIRVAN AKASH - Sky Enlightenment Of Inner Yoga. Guru Sri Anirvan's spiritual philosophy.He translated Sri Aurobindo's Life Divine into beautiful poetic Bengali.His disciples include Lizelle Reymond who wrote "To Live Within" with him,and Jacob Needleman.He was a contemporary of Sri Rabindranath Tagore.
UNPUBLISHED BENGALI POEMS BY SRI ANIRVAN
UNPUBLISHED BENGALI POEMS BY SRI ANIRVAN
স্বাহাকৃতি
অনির্বাণ
আপুর্যমাণ অচলপ্রতিষ্ঠ চেতনা !
অরংকৃতির আকর্ষণ পরিধিকে গুটিয়ে আনছে
সুষুম্ন -তন্তুতে গাঁথা মনিবিন্দুর সন্ততিতে !
শুভ্রু অগ্নিস্শিখার তপতী আকূতি জ্বলছে তার পর্বে পর্বে -
'জ্যোতিরিবাধুমক:'
'নিবাত নিষ্কম্প :'........
এক গভীর আহুতি ---
কৈশিকীর সর্পিল বিদ্যুতে ঝঙ্কৃত বৈশ্বানরের স্বাহামন্ত্র :
'হৈমবতি আবির, আবির ম এধি !'
সাড়া এলো দিগন্তের ঢেউ খেলানো পরিভূ প্রানের সমুদ্র হতে :
'এই যে আমি '..........
হিরন্য গর্ভের উত-সর্পিণী ভাবনার নিরুদ্ধ বেদনায়
কাঁপছি তোমার সত্তার গভীরে ....................
তোমার অশ্রু -থর থর বাষ্পল চেতনায়
এই যে আমি
অরুন্ধতি উষার হৃদয় - ছাওয়া কেতকী কোমল আভা :
আনি উদ্যানের জয়ন্ত আশ্বাস ,
এলিয়ে দি ই তোমার অন্তর হৃদয়ের নি:শব্দ আকাশে !
বৈশ্বানর,
আমি যে তোমার স্বপ্ন স্বয়ম্বরা স্বাহাকৃতি !'
ঘুচলো আড়াল !
তৃষার অনুর জ্যোতিরনুতে
এ কী উদ্বেলিত সমুদ্রের নিথর কল্লোল !
কোথায় আমার চাওয়া ?
দেখছি ,
হৃদয়ে - হৃদয়ে আমারই আকূতি অগ্নিনাগিনী
বিদ্যুজ্জিহ্ব লেলিহায় লেহন করছে
মহাব্যোমের রিক্ততাকে !
তৃনান্চিত পৃথিবীর রোমাঞ্চে শুনি
কোন বিরহিনীর ব্যাকুল কন্ঠস্বর :
' ও গো বৈশ্বানর ,
ওগো অগস্ত্য -চেতনার প্রলয়ী তৃষা,
আর যে পারি না.....
আমায় টেনে নাও .....টেনে নাও তোমার অস্পর্শ
অরূপ সত্তার অতলে !'
স্তব্ধ বৈশ্বানর
'নিবাত নিষ্কম্প :'.............................
'জ্যোতিরিবাধুমক:'................
চকিত বসন্তের স্বপ্ন ভঙ্গে
কত যে কিশোরী -চেতনার আবেশে -বিবশ শিহরণ
অরের মত সমর্পিত হয়ে আহে
একটি আদিত্য হৃদয়ের ধ্রুব দ্যুতিতে !
শুধু প্রসন্ন দৃষ্টিতে চাওয়া তাদের পানে,
শুধু এক নি:শব্দ মধুর স্বীকৃতি ,
শুধু বামদেব্য সামচেতনার এই অজপা :
'ওম আয়াহি !'
আপ্তোকামের প্রত্যাহরণে
মুগ্ধা প্রকৃতি লীন হল উন্মনী চেতনার মনিকূটে-
ব্যাপ্ত অহল জগন্ময়
অস্পর্শ -অশব্দের গভীরে নিশ্বসিত
এক হৈমন্তী নিরতির হিরন্ময় মুর্চ্ছানা
'ওগো কোথায় আমি .......
'আমি তো নাই .......'
*************************
অনিমেষ
অনির্বাণ
আজ তিনটি দিন ধরে ,অচলসুতা ,
কজের ফাঁকে -ফাঁকে মুখ তুলে দেখছি -
ওই আকাশের গায়ে হেলান দিয়ে
অতন্দ্র নয়নে তাকিয়ে আছ
কোন সুদূরের প্রতিচ্ছবির পানে I
দুটি কুবলয়ের নিস্পন্দ নিতলে
মন্থর হেমন্তের নীলাভো রৌদ্রের রোমাঞ্চে যেন
স্বপ্নের চূর্ণরশ্মি- ছড়ানো রহস্যের নির্বাক আমন্ত্রণ I
নিঃসুপ্ত আমার মৃদুশ্বসিত আঁধারে ও
সর্বাঙ্গে বুলিয়ে চলছ তোমার সজাগ দৃষ্টি I
মুখ ফুটে একটি কথাও বলছ না -
বিবসন বুকের জ্যোছনা
রিক্ততার ধূসর বুকে
কবোষ্ণ সোহাগে লুটিয়ে পরছেনা একটিবারও I
স্ফিন্কসের নৈশব্দ্য়ে হিমেল
এ কী দুঃসহ অপলক তোমার চেয়ে থাকা I
চেতনা নিঃসাড় হয়ে আসে মৃত্যুর নেশায় I
সেইই নিঝ্ঝুম মুর্চ্ছনে
ভয়াল নাস্তিতার গভীর তন্ত্রে ক়ে যেন হানে
নির্মম বঞ্চনার কর্কশ ঝন্ঝনা :
'ম্যায় ভূকা হু 'I
কিন্তু তোমার বুভুক্ষু প্রানের লোলজিহ্বা সৃক্কনিলেহন
এই অতৃষ্ণ নিরতির নির্বেদ- মেদুর ললাটে
শিথিল সঞ্চারে নেমে আসে
তুষার মৌনের বুকে উষার যেন রাঙা চুমা I
পরিনির্বানের অপ্রকেত কুহরে
মৃত্যুর ও মরণ হয়
আকাশগঙ্গার দুরান্ত অনালোকে অনুচ্ছল আলোর বন্যায় I
বুঝি বুভুক্ষার নিষ্ঠুর তাড়ন
কোন দেব্গন্ধর্বের মৃদুল ছোয়ায়
লজ্জায় মিইয়ে পড়ে
সদ্য -চোখ -মেলা -ভালবাসার কমল মিড়ে I
তখনও তুমি নিঃশব্দে তাকিয়ে আছ
দূর -দিগ বলয়ের বিদিশা শূণ্যতার পানে I
আর তোমার রহস্য নীল সেই দৃষ্টির গভীরে
কী নিবিড় আশ্বাসে কাঁপছে
বিবাগী পূরুরবার
দুকুলহারা ব্যাকুল চাওয়ার দুটি রঙিন পাখা I
তারপর ,
নৈরাত্ম্যের পীতাভ -পান্দুরে পড়ল কি
আনমনে -ভেসে -আসা- সজল মেঘের
একটুখানি কাজল ছায়া ?
অভ্রত্তরণ সাম্পরিশ্বন্গের নীহারে প্রাবৃত
যুগনদ্ধ সুমেরুতন্ত্রে কি ঝিলিক হানলো
অনঙ্গ সুরতবন্ধের বিদ্যুত রিমঝিম ?
তার অকিন্চান্যা নিরায়তনে
তোমার অমা -তনিমার কৌষেয় - বিভ্রম বুঝি
অতর্কিত পূর্বরাগের অভিঘাতে থরথর I
তার প্রসন্ন সুস্মিতে অনামা ভুবনের অরুন স্বপ্ন
ঝরে পরছে ইন্দ্রনীল -ললাটিকা রহ্স্য বঞ্চনায় ঝিলমিল I
তার বিপাশা জ্যোছনার ফেনিল মায়ায়
শিলীভূত নির্ঝরের সুপ্তির কুলে
অরুন্ধতী অস্তিতার ক্ষনভঙ্গী লাস্যের ছন্দ যেন টলমল I
তবুও তুমি অতন্দ্র নয়নে
তাকিয়ে আছ যে কিসের পানে I
তোমার পলকহারা দৃষ্টির বিদ্যুচ্চকিত উল্কারেখায়
খুঁজে পাই নচিকেতা অভীপ্সার রহস্যকুঞ্চিকা --
অনুত্তারার অন্তশ্চ -অন্চার দিব্যক্র্তুর অবন্ধ্যা ইশারায় I
অনেক ব্যর্থতার অনেক মৃত্যুর উত্তাল গর্জন ছাপিয়ে চলেছে
অস্তি আর নাস্তির মিথুনে প্ররোহী
মহাজীবনে অশ্রান্ত উত্তর অয়ন I
মুহুর্তের তরে
ধু -ধু -দিগন্তের উপান্তে ভেসে ওঠে
তোমার কিশোরী আকূতির তাম্রপর্নী প্রচ্ছায়া
অজর সবুজের সঙ্কেতে শবলা I
আরো .....আরো .....দুরে ......
দিবদুহিতা অহনার সুনীল নয়নে
সদ্য ঘুম ভাঙ্গা দৃষ্টির কূলে
অজানা -জানায় অনির্বচনিয়ের মুগ্ধ বিস্ময় Η
তোমার নয়নে তবুও নিমেষ নাই II
দুঁহু মন
অনির্বাণ
'দুঁহু মন মনোভাব পেষল জনি ' :
এই শেষ সত্য, রেখা --
বিগলিত মরণের রোমহর্ষণ রভসে I
এই শেষ .....
তবু ও সে অনাদি ...... অশেষ ....
কিঞ্চিত - পরিলুপ্ত ধৈর্যের বাঁধন
উর্বশীর কবরীর বিস্রস্ত সৌরভে বুঝি টলমল :
উদ্ভ্রান্ত ভ্রূমর তাই খুঁজে ফেরে
আধফোটা কমলের লজ্জারুণ মধুর বিভ্রম I
অকস্মাত কেটে যায় কুয়াশার ঘোর I
রংছুট আকাশের প্রসন্ন ছোঁয়ায়
ঝিরিঝিরি হৃদয়ের মদির কাঁপন
রাসটানা আকুতির নির্বেদে শিথিল I
জোত্স্না স্নাত সিলেটের সম্মুগ্ধ বিতানে
চেয়ে দেখি রূপ ধরে অচ্ছদবসনা একটু - বিরাগী
মনের তুলির টানে I
তোমার অনঙ্গ
আসঙ্গের নির্বাক ইশারা তবু
বিদ্যুটতে চকিত I
সারাদিন তারা ঘিরে
ভ্রমের গুনগুন,
সরসর নারিকেলশাখার দোলনে
বাতাসের দীর্ঘ শ্বাস , পাপিয়ার দীর্ণ কন্ঠে
রতিবিলাপের ঢেউ- ওঠাপড়া.........
তারপর বেলা ডুবে গেলে
ঘুচে যায় সকল আড়াল , রেখা :
চোখ মেলে -চেয়ে -থাকা অবুঝ পিপাসা
অতনু -তরঙ্গ ভঙ্গে
বুজে আসে বুকের সুতলে
পাওয়ার কি গভীর সুখে I
সব -ছাওয়া
আঁধারের অকূল অতল, আহা
দুঁহু মন পেষল.....পেষল ...পেষল জনি --
ন হম রমণ, ন সো রমণী II
দুটি কবিতা
শ্রী অনির্বাণ
মোহনায়
রূপ আর অরুপের মোহনায় দাঁড়িয়ে আছি I
হৃদয়ের শুভ্র রিক্ততার কুহরে
কাঁপছে যে - স্বপ্ন সঙ্গিনীর মেদুর ছায়া ,
এ - পৃথিবীর বুকে সে যেন আজ থেকেও নাই I
ফাল্গুনী জ্যোত্স্নার ধারাসারে বাউল মন
শিথিল বন্ধনে অরুপাকে জড়িয়ে ধরেও
চায়না সে চকিত সৌরভ স্পর্শের রূপায়ন
একটুখানি রূপের আভাস
অন্তরের বন্হি দহনে বাষ্প তরল হয়ে
মিলিয়ে যাক দ্যুলোকের অফুরন্ত অন্ধকারে :
সেখানে
প্রকাশে বেদনায় রুদ্ধ শ্বাস প্রক্ষভে বিপ্লুত
কোন অব্যক্তের নির্মম পরিচয় ?
রহস্যের নীলাভ কুয়াসায় চেয়ে গেল আমার মন I
জীবনের উষার মরুতে
কোথায় পরম তাত্পর্যের অভ্রকনা ?
কোথাও নাই I
চরম পাওয়ার সুনিশ্চিত প্রত্যাশায় কি এনেছিল তবে
গতির সুষমা , চাঁদের দোলা ?
জানিনা I
বাউল হাওয়া অকারণ বইছে আলুথালু হয়ে I
বুদ্ধির শাসনে তাকে বাঁধতাম যদি, সে ই কি ধরত সত্যের রূপ ? আজ
শেষ কথাটা আর অজানা নয় :
এই হওয়ার - ই মতন শূন্যের বুকে ফুরিয়ে যাওয়া I
কিন্তু তার উপান্তে দাঁড়িয়ে
একটু মুহুর্তের তরে ও
অফুরানের ঘোমটা না খসাতে পারলাম যদি -
তবে ?
শক্ত করে তাকে ধরতে চাই এই মুঠির মাঝে ,
বুদ্ধির দেউটিতে ঘুরিয়ে - ঘুরিয়ে দেখতে চাই ,
চিনতে চাই তার কুটিল রহস্যের প্রত্যেকটি বাঁক I
তারপর ,
তাকে ছুঁড়ে ফেলে দিতে চাই
আমার ওই নিশ্কৌতুহাল রিক্ততার ধুসর প্রত্যন্তে ...
বুকের ফাঁকায় নিঃশ্বাস ভারী হয়ে আসে I
এই যে পেয়েছি তাকে :
অবর্ন জীবনের প্রচ্ছদে
বিচিত্র বর্ণালী -লেখার প্রতানে
থেকে থেকে সুনীল মৃত্যুর কসি -
ধোঁয়া -ধোঁয়া মেঘের ফাঁকে -ফাঁকে
আকাশের অথৈ ইশারার মত I
বুদ্ধির এই খদ্যতিকাই
তামসী নীহারিকার অন্ধ অতলে জাগায়
দুঃসহ দ্যুতির বিস্ফোরণ I
তার সুতীখ্নো এষনার ইষিকায়
মর্ত্যের শ্রান্ত লালাতে সহসা ঝিকিয়ে ওঠে
অর্যামার বিদ্যুজ্জিহ্বা দৃষ্টির স্ফুলিঙ্গ -
ক্ষণিকার আলোয় ঝলক হানে অরুপের রহস্যরুপ I
তারপর ,
আবার সেই অজানার হাতছানি ,
বুক জুড়ে সেই পেয়েও- না- পাওয়ার ব্যাকুলতা ....
নিষ্ঠুর প্রেম বৈচিত্ত্যের সেই আতুর বিদ্রুপ I
এই কি তবে জীবনের উত্তরায়ন -
মরণের ম্ন্দাক্রান্তায় প্রবহন্ত প্রানের রূপাভিসার
রূপ আর অরুপের মযূর কন্ঠী মিতালিতে
অনাব্সান রহস্যের চমক শুধু !
তা-ই হবে II
অপ্রতিম
শ্রী অনির্বাণ
তস্মাদ ইদম অর্ধবৃগলম ইব স্বঃ , তস্মাদ অযম আকাশঃ স্ত্রিয়া পুর্যাত এব --
------- বৃহদারন্যকোপনিসদ
আকাশের মন নাই I তোমার ও তো রূপ নাই -
আছে শুধু রেখার ইশারা I
ওই দেখ ভুবনে - ভুবনে
বারানসেয় দেবদত্তের ধুমজ্যতিরাতুর কামনা
রামগিরি - কন্দরে- কান্তারে মাথাকুটে মরে : তার
সুতনুকা আলো নয় ---
আলেয়ার হাতছানি শুধু I তাই বলি ,
দুঁহু মন পেষার আগেই
মনোভবে পিষে ফেল পিষে ফেল , রেখা I
উশতী সুবাসা জায়ার আকূতি তনুবিসারিনী
ধুম্জ্যতিঃ সলিল মরুতান সন্নিপাতী মেঘ শুধু ....
শুধু গেঁজে ওঠা মাধুরীর ফেনা ..
আকাশ কোথায় ?
চেয়ে দেখ , অতানুকা,
এই অন্তর হৃদয়ে দহর কমলের ঘরখানি
আমনা মুক্তির মৌক্তিক বিভ্রমে রচা I
এ - ঘর তোমার নয় , তুমি ই এ - ঘর I
অমনার ধুপছায়া - মনের মুকুরে
ইন্দ্রযোনি -বিচ্ছুরিত লাবন্যের আভা
অহনার কাল্পকায়ার কবিতা :
আনন্দ -বেদনা নয় -অস্তিতার সান্দ্র- শিহরণে
আত্মরতির বিদ্যুত অনঙ্গ রেখার টানে
এঁকে চলে অপ্রতিম ছায়ার প্রতিমা I
রসার অতলে গচ্ছিত স্বপ্নের ভ্রুণ I তারই অন্কুরণে
দৃষ্টি হয় চোখ, প্রাণ ঘ্রাণ পিপাসা অধর
আকাশের হৃদয় দোলায়
বামদেব্য সামের গুঞ্জন I
স্পর্শে আকূতি হতে বিচ্ছুরিত
কমলার নীহারিকা - তনুর তননে
বিকাসিছে থরে- থরে কমলের দল I
সব আছে , শুধু মন নাই I তাই রেখা,
সমুদ্রে জোয়ার - ভাটা থেমে গেছে I
আকাশের নীলে শুধু গুরো -গুরো আলোর কাঁপন ....
অতনুর সুতনুকা মাধুরীর মায়া
অর্ধবৃগলের অসঙ্গে নিবিড় II
**************************
সৌর কলঙ্ক
অনির্বাণ
স্বাচ্ছন্দ্যের রোমন্থন রইল না জীবনে --
এ এক পরিত্রাণ, একটা আশীর্বাদ ;
চরম পাওয়ার আয়েস জড়ত়া আনল না কোনওদিন
এক নিরাসক্ত চাওয়া
শূন্যের মসৃন বুকে উঁচিয়ে রইলো কাঁটার মত--
'তারপর..............'I
এই যদি নিয়তি হয় ,
জয় হক সে নিয়তির I
করালিনীর কুটিল ভ্রুকুটিতে
দু 'খান হয়ে ভেঙ্গে পড়ুক বসন্ত সখার ফুলধনু
পাষাণীর কঠিন অশ্লেল্শ পাঁজর গুড়িয়া দিক
গুড়িয়া দিক এসব শিথিল চেতনায় ফেনিয়ে ওঠা
ক্লিন ভালবাসার আতুর স্বপ্ন I
নিষ্ঠুর উল্লাসে চর্বন কর মনের যত বিভ্রম
হে রক্তদান্তিকা,
কিছুরই কোন শেষ রেখোনা যেন I
থাক শুধু নিকিন্চন প্রলয়ের নিঃসীম তেপান্তর :
চোখ বুজে সব ফুরিয়ে দেবার আরাম নেই তার মধ্যে
আছে মধ্যাহ্নসুর্যের নিশ্চিত তিখ্নতায় ঝলসানো দৃষ্টিতে
এক অজানা রশ্মির চকিত আবির্ভাবের প্রত্যশা শুধু I
আর আনন্দের কাকলি থাক শিশুর তরে -
উদ্দীপ্ত যৌবনের কঠিন মুষ্টির পরে এলো
অনড় পাষাণ প্রকারের দ্বন্দ্বাহ্বান :
' বিলু চিদ আ রুজ 'I
কাজরী
শ্রী অনির্বাণ
সকালে কাজল মেঘে ঢেকেছে আকাশ I
জল ঝরে রিমঝিম I রুদ্ধ বাতাস
চাপা কান্নার ভারে ভারী করে তোলে
পাইনের বন I. পাখীরা সঙ্গীত ভোলে I
ঝিরিঝিরি বয়ে চলে ঝরণার ধারা
একঘেয়ে সুরে I. মন তো দেয় না সাড়া
কোন- কিছুতেই I কিছু করবার নেই ---
এলোমেলো ভাবনার হারায়েছে খেই
ধোঁয়া-ধোঁয়া মেঘের মিছিলে I.
কোথায় গেলে
বল দেখি ! আবছা -ছায়ায় ছায়া মেলে
শূন্যে মিলালে I. এদিক-ওদিক খুঁজি
পিয়াসী আঙুলে I. তারপর চোখবুজি--
হতাশায় নয় ওগো , ব্যথাতেও নয়. I
মনের ফাঁকায় নেই হারাবার ভয় -
নিঃশেষে জেনেছি , তাই স্বপ্ন শিথিল
চেরাপুঞ্জির ওই মেঘের মিছিল
ছুঁয়ে-ছুঁয়ে যায়. I ও- মেঘ চলেছে ভেসে
জানার অকূল হতে অজানার দেশে I.
উদাসী চোখের চাওয়া তারই সাথে চলে
মন্থর আলোর স্রোতে I
বেলা পরে ঢলে I.
কল্লোল শোনা যায় : ওই তো সাগর ......
ওই নীল থৈ থৈ -- কুলহারা মরন - বাসর I.
কাজল মনের মেঘ ওইখানে নামে,
বুকের নীরব ঝড় ওরই বুকে থামে II
রাধার আকূতি
শ্রী মা
যখনি তুলিনু আঁখি ও- মুখের পানে,
জানিলাম,----
তুমিই আমার পরম দেবতা,
সব- ছাওয়া হে আমার সত্তার ঈশ্বর !
লও , ওগো লও মোর প্রানের আহুতি I
আমার ভাবনা যত, আমার আবেগ,
হৃদয়ের উল্লসিত যত রসালস ,
ইন্দ্রিয়ের যা - কিছু বেদন,
জীবনে যে ছন্দের স্পন্দন,
এ -তনুর প্রতি অণু,
ধমনীর প্রতি রক্তকণা.....
তারা যে তোমারই বঁধু, আমার তো নয় ......
তোমারি যে তারা !
অনিঃশেষে তোমার ই যে আমি ...
কেবলি তোমার.....
কুণ্ঠাহীন আত্মনিবেদনের ওগো তোমার ....
তোমার কি চাও আমার মাঝে ?
বল .... বল .....তা- ই হব আমি !
কিদেবে আমারে তুমি ?
মৃত্যু না জীবন , উল্লাস না শোক ?
সুখ দেবে ? দুঃখ দেবে ?
যা দাও আপন হাতে, ওগো বঁধু,
তা - ই আমি বুকে তুলে লব,
যা কিছু দাও না তুমি ,
দ্যুলোকের নির্মাল্য সে- আনিবে বহিয়া
এ - হৃদয়ে নিত্য শুধু ও নুত্তাম আনরভস ΙΙ
RADHA 'S PRAYER BY SHRI MA
Translated into Bengali by SRI ANIRVAN
দুঁহু মন
অনির্বাণ
'দুঁহু মন মনোভাব পেষল জনি ' :
এই শেষ সত্য, রেখা --
বিগলিত মরণের রোমহর্ষণ রভসে I
এই শেষ .....
তবু ও সে অনাদি ...... অশেষ ....
কিঞ্চিত - পরিলুপ্ত ধৈর্যের বাঁধন
উর্বশীর কবরীর বিস্রস্ত সৌরভে বুঝি টলমল :
উদ্ভ্রান্ত ভ্রূমর তাই খুঁজে ফেরে
আধফোটা কমলের লজ্জারুণ মধুর বিভ্রম I
অকস্মাত কেটে যায় কুয়াশার ঘোর I
রংছুট আকাশের প্রসন্ন ছোঁয়ায়
ঝিরিঝিরি হৃদয়ের মদির কাঁপন
রাসটানা আকুতির নির্বেদে শিথিল I
জোত্স্না স্নাত সিলেটের সম্মুগ্ধ বিতানে
চেয়ে দেখি রূপ ধরে অচ্ছদবসনা একটু - বিরাগী
মনের তুলির টানে I
তোমার অনঙ্গ
আসঙ্গের নির্বাক ইশারা তবু
বিদ্যুটতে চকিত I
সারাদিন তারা ঘিরে
ভ্রমের গুনগুন,
সরসর নারিকেলশাখার দোলনে
বাতাসের দীর্ঘ শ্বাস , পাপিয়ার দীর্ণ কন্ঠে
রতিবিলাপের ঢেউ- ওঠাপড়া.........
তারপর বেলা ডুবে গেলে
ঘুচে যায় সকল আড়াল , রেখা :
চোখ মেলে -চেয়ে -থাকা অবুঝ পিপাসা
অতনু -তরঙ্গ ভঙ্গে
বুজে আসে বুকের সুতলে
পাওয়ার কি গভীর সুখে I
সব -ছাওয়া
আঁধারের অকূল অতল, আহা
দুঁহু মন পেষল.....পেষল ...পেষল জনি --
ন হম রমণ, ন সো রমণী II
দুটি কবিতা
শ্রী অনির্বাণ
মোহনায়
রূপ আর অরুপের মোহনায় দাঁড়িয়ে আছি I
হৃদয়ের শুভ্র রিক্ততার কুহরে
কাঁপছে যে - স্বপ্ন সঙ্গিনীর মেদুর ছায়া ,
এ - পৃথিবীর বুকে সে যেন আজ থেকেও নাই I
ফাল্গুনী জ্যোত্স্নার ধারাসারে বাউল মন
শিথিল বন্ধনে অরুপাকে জড়িয়ে ধরেও
চায়না সে চকিত সৌরভ স্পর্শের রূপায়ন
একটুখানি রূপের আভাস
অন্তরের বন্হি দহনে বাষ্প তরল হয়ে
মিলিয়ে যাক দ্যুলোকের অফুরন্ত অন্ধকারে :
সেখানে
প্রকাশে বেদনায় রুদ্ধ শ্বাস প্রক্ষভে বিপ্লুত
কোন অব্যক্তের নির্মম পরিচয় ?
রহস্যের নীলাভ কুয়াসায় চেয়ে গেল আমার মন I
জীবনের উষার মরুতে
কোথায় পরম তাত্পর্যের অভ্রকনা ?
কোথাও নাই I
চরম পাওয়ার সুনিশ্চিত প্রত্যাশায় কি এনেছিল তবে
গতির সুষমা , চাঁদের দোলা ?
জানিনা I
বাউল হাওয়া অকারণ বইছে আলুথালু হয়ে I
বুদ্ধির শাসনে তাকে বাঁধতাম যদি, সে ই কি ধরত সত্যের রূপ ? আজ
শেষ কথাটা আর অজানা নয় :
এই হওয়ার - ই মতন শূন্যের বুকে ফুরিয়ে যাওয়া I
কিন্তু তার উপান্তে দাঁড়িয়ে
একটু মুহুর্তের তরে ও
অফুরানের ঘোমটা না খসাতে পারলাম যদি -
তবে ?
শক্ত করে তাকে ধরতে চাই এই মুঠির মাঝে ,
বুদ্ধির দেউটিতে ঘুরিয়ে - ঘুরিয়ে দেখতে চাই ,
চিনতে চাই তার কুটিল রহস্যের প্রত্যেকটি বাঁক I
তারপর ,
তাকে ছুঁড়ে ফেলে দিতে চাই
আমার ওই নিশ্কৌতুহাল রিক্ততার ধুসর প্রত্যন্তে ...
বুকের ফাঁকায় নিঃশ্বাস ভারী হয়ে আসে I
এই যে পেয়েছি তাকে :
অবর্ন জীবনের প্রচ্ছদে
বিচিত্র বর্ণালী -লেখার প্রতানে
থেকে থেকে সুনীল মৃত্যুর কসি -
ধোঁয়া -ধোঁয়া মেঘের ফাঁকে -ফাঁকে
আকাশের অথৈ ইশারার মত I
বুদ্ধির এই খদ্যতিকাই
তামসী নীহারিকার অন্ধ অতলে জাগায়
দুঃসহ দ্যুতির বিস্ফোরণ I
তার সুতীখ্নো এষনার ইষিকায়
মর্ত্যের শ্রান্ত লালাতে সহসা ঝিকিয়ে ওঠে
অর্যামার বিদ্যুজ্জিহ্বা দৃষ্টির স্ফুলিঙ্গ -
ক্ষণিকার আলোয় ঝলক হানে অরুপের রহস্যরুপ I
তারপর ,
আবার সেই অজানার হাতছানি ,
বুক জুড়ে সেই পেয়েও- না- পাওয়ার ব্যাকুলতা ....
নিষ্ঠুর প্রেম বৈচিত্ত্যের সেই আতুর বিদ্রুপ I
এই কি তবে জীবনের উত্তরায়ন -
মরণের ম্ন্দাক্রান্তায় প্রবহন্ত প্রানের রূপাভিসার
রূপ আর অরুপের মযূর কন্ঠী মিতালিতে
অনাব্সান রহস্যের চমক শুধু !
তা-ই হবে II
অপ্রতিম
শ্রী অনির্বাণ
তস্মাদ ইদম অর্ধবৃগলম ইব স্বঃ , তস্মাদ অযম আকাশঃ স্ত্রিয়া পুর্যাত এব --
------- বৃহদারন্যকোপনিসদ
আকাশের মন নাই I তোমার ও তো রূপ নাই -
আছে শুধু রেখার ইশারা I
ওই দেখ ভুবনে - ভুবনে
বারানসেয় দেবদত্তের ধুমজ্যতিরাতুর কামনা
রামগিরি - কন্দরে- কান্তারে মাথাকুটে মরে : তার
সুতনুকা আলো নয় ---
আলেয়ার হাতছানি শুধু I তাই বলি ,
দুঁহু মন পেষার আগেই
মনোভবে পিষে ফেল পিষে ফেল , রেখা I
উশতী সুবাসা জায়ার আকূতি তনুবিসারিনী
ধুম্জ্যতিঃ সলিল মরুতান সন্নিপাতী মেঘ শুধু ....
শুধু গেঁজে ওঠা মাধুরীর ফেনা ..
আকাশ কোথায় ?
চেয়ে দেখ , অতানুকা,
এই অন্তর হৃদয়ে দহর কমলের ঘরখানি
আমনা মুক্তির মৌক্তিক বিভ্রমে রচা I
এ - ঘর তোমার নয় , তুমি ই এ - ঘর I
অমনার ধুপছায়া - মনের মুকুরে
ইন্দ্রযোনি -বিচ্ছুরিত লাবন্যের আভা
অহনার কাল্পকায়ার কবিতা :
আনন্দ -বেদনা নয় -অস্তিতার সান্দ্র- শিহরণে
আত্মরতির বিদ্যুত অনঙ্গ রেখার টানে
এঁকে চলে অপ্রতিম ছায়ার প্রতিমা I
রসার অতলে গচ্ছিত স্বপ্নের ভ্রুণ I তারই অন্কুরণে
দৃষ্টি হয় চোখ, প্রাণ ঘ্রাণ পিপাসা অধর
আকাশের হৃদয় দোলায়
বামদেব্য সামের গুঞ্জন I
স্পর্শে আকূতি হতে বিচ্ছুরিত
কমলার নীহারিকা - তনুর তননে
বিকাসিছে থরে- থরে কমলের দল I
সব আছে , শুধু মন নাই I তাই রেখা,
সমুদ্রে জোয়ার - ভাটা থেমে গেছে I
আকাশের নীলে শুধু গুরো -গুরো আলোর কাঁপন ....
অতনুর সুতনুকা মাধুরীর মায়া
অর্ধবৃগলের অসঙ্গে নিবিড় II
অনিমেষ
অনির্বাণ
আজ তিনটি দিন ধরে ,অচলসুতা ,
কজের ফাঁকে -ফাঁকে মুখ তুলে দেখছি -
ওই আকাশের গায়ে হেলান দিয়ে
অতন্দ্র নয়নে তাকিয়ে আছ
কোন সুদূরের প্রতিচ্ছবির পানে I
দুটি কুবলয়ের নিস্পন্দ নিতলে
মন্থর হেমন্তের নীলাভো রৌদ্রের রোমাঞ্চে যেন
স্বপ্নের চূর্ণরশ্মি- ছড়ানো রহস্যের নির্বাক আমন্ত্রণ I
নিঃসুপ্ত আমার মৃদুশ্বসিত আঁধারে ও
সর্বাঙ্গে বুলিয়ে চলছ তোমার সজাগ দৃষ্টি I
মুখ ফুটে একটি কথাও বলছ না -
বিবসন বুকের জ্যোছনা
রিক্ততার ধূসর বুকে
কবোষ্ণ সোহাগে লুটিয়ে পরছেনা একটিবারও I
স্ফিন্কসের নৈশব্দ্য়ে হিমেল
এ কী দুঃসহ অপলক তোমার চেয়ে থাকা I
চেতনা নিঃসাড় হয়ে আসে মৃত্যুর নেশায় I
সেইই নিঝ্ঝুম মুর্চ্ছনে
ভয়াল নাস্তিতার গভীর তন্ত্রে ক়ে যেন হানে
নির্মম বঞ্চনার কর্কশ ঝন্ঝনা :
'ম্যায় ভূকা হু 'I
কিন্তু তোমার বুভুক্ষু প্রানের লোলজিহ্বা সৃক্কনিলেহন
এই অতৃষ্ণ নিরতির নির্বেদ- মেদুর ললাটে
শিথিল সঞ্চারে নেমে আসে
তুষার মৌনের বুকে উষার যেন রাঙা চুমা I
পরিনির্বানের অপ্রকেত কুহরে
মৃত্যুর ও মরণ হয়
আকাশগঙ্গার দুরান্ত অনালোকে অনুচ্ছল আলোর বন্যায় I
বুঝি বুভুক্ষার নিষ্ঠুর তাড়ন
কোন দেব্গন্ধর্বের মৃদুল ছোয়ায়
লজ্জায় মিইয়ে পড়ে
সদ্য -চোখ -মেলা -ভালবাসার কমল মিড়ে I
তখনও তুমি নিঃশব্দে তাকিয়ে আছ
দূর -দিগ বলয়ের বিদিশা শূণ্যতার পানে I
আর তোমার রহস্য নীল সেই দৃষ্টির গভীরে
কী নিবিড় আশ্বাসে কাঁপছে
বিবাগী পূরুরবার
দুকুলহারা ব্যাকুল চাওয়ার দুটি রঙিন পাখা I
তারপর ,
নৈরাত্ম্যের পীতাভ -পান্দুরে পড়ল কি
আনমনে -ভেসে -আসা- সজল মেঘের
একটুখানি কাজল ছায়া ?
অভ্রত্তরণ সাম্পরিশ্বন্গের নীহারে প্রাবৃত
যুগনদ্ধ সুমেরুতন্ত্রে কি ঝিলিক হানলো
অনঙ্গ সুরতবন্ধের বিদ্যুত রিমঝিম ?
তার অকিন্চান্যা নিরায়তনে
তোমার অমা -তনিমার কৌষেয় - বিভ্রম বুঝি
অতর্কিত পূর্বরাগের অভিঘাতে থরথর I
তার প্রসন্ন সুস্মিতে অনামা ভুবনের অরুন স্বপ্ন
ঝরে পরছে ইন্দ্রনীল -ললাটিকা রহ্স্য বঞ্চনায় ঝিলমিল I
তার বিপাশা জ্যোছনার ফেনিল মায়ায়
শিলীভূত নির্ঝরের সুপ্তির কুলে
অরুন্ধতী অস্তিতার ক্ষনভঙ্গী লাস্যের ছন্দ যেন টলমল I
তবুও তুমি অতন্দ্র নয়নে
তাকিয়ে আছ যে কিসের পানে I
তোমার পলকহারা দৃষ্টির বিদ্যুচ্চকিত উল্কারেখায়
খুঁজে পাই নচিকেতা অভীপ্সার রহস্যকুঞ্চিকা --
অনুত্তারার অন্তশ্চ -অন্চার দিব্যক্র্তুর অবন্ধ্যা ইশারায় I
অনেক ব্যর্থতার অনেক মৃত্যুর উত্তাল গর্জন ছাপিয়ে চলেছে
অস্তি আর নাস্তির মিথুনে প্ররোহী
মহাজীবনে অশ্রান্ত উত্তর অয়ন I
মুহুর্তের তরে
ধু -ধু -দিগন্তের উপান্তে ভেসে ওঠে
তোমার কিশোরী আকূতির তাম্রপর্নী প্রচ্ছায়া
অজর সবুজের সঙ্কেতে শবলা I
আরো .....আরো .....দুরে ......
দিবদুহিতা অহনার সুনীল নয়নে
সদ্য ঘুম ভাঙ্গা দৃষ্টির কূলে
অজানা -জানায় অনির্বচনিয়ের মুগ্ধ বিস্ময় Η
তোমার নয়নে তবুও নিমেষ নাই II
Subscribe to:
Posts (Atom)